সরকার পতনের পর আত্মগোপনে আছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
15 Aug, 2024 /
/
No Comments
/
96 Views
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) এখনও অনুপস্থিত সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। দেশের অস্থিতিশীল অবস্থায় ক্রিকেটাঙ্গনেও অস্থিরতা চলছে। সহসভাপতির পদে শূন্যতা থাকায় সভাপতির অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব নেয়ারও কেউ নেই।
শেখ হাসিনার পতন ও দেশত্যাগের পর রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেন। ফলে বাকিদের মতো নাজমুল হাসান পাপনও মন্ত্রিত্ব ও সংসদ সদস্য পদ হারিয়েছেন। তবে পাপনের বিসিবির সভাপতির পদ এখনও টিকে আছে। রাজনৈতিক কারণে আত্মগোপনে চলে যাওয়া সাবেক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রীকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে বিসিবি। দাবি উঠেছে বিসিবির পুনর্গঠনের।
আইসিসির নীতিমালা অনুযায়ী, সরকার চাইলেই বিসিবির বর্তমান কমিটি ভেঙে দিতে কিংবা কাউকে সভাপতির দায়িত্বে বসাতে পারবে না। ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার আইন অনুযায়ী, কোনো দেশের ক্রিকেট বোর্ডে সরকার বা তৃতীয় পক্ষ কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। যে কারণে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তাগাদা দিয়েছেন আইসিসির পরামর্শক্রমে বিকল্প খোঁজার দিকে।
রোববার (১১ আগস্ট) প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে নিজের মন্ত্রণালয়ে অফিস করতে এসেছিলেন নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা। প্রথম দিনেই তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী ও সাতজন পরিচালক। সেখানেই আলোচনা হয়েছে সভাপতির অনুপস্থিতিতে করণীয় এবং অক্টোবরে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভবিষ্যৎ নিয়ে।
সভাপতির অনুপস্থিতি নিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘বর্তমানে বিসিবির সভাপতি অনুপস্থিত আছেন। অবশ্যই একটা সংস্থাকে কাজ করতে হলে সবার উপস্থিতি প্রয়োজন। সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যেহেতু তিনি অনুপস্থিত আছেন, তাই আমরা বিসিবির যারা পরিচালক আছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আইসিসির আইন মেনে যেটা করার, সেটাই করবেন। পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য কাউকে নিয়োগ দেওয়া যায় কি না সেই বিষয়টিও দেখতে বলেছি।’
পাপনের অবর্তমানে বিসিবি পরিচালনায় সরকারি হস্তক্ষেপ নিষেধাজ্ঞায় ফেলতে পারে দেশের ক্রিকেটকে। তবে নিয়মের ভেতরে থেকেও সংস্কার সম্ভব। সে ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজনকে।
দেশের বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে বিসিবি সভাপতির অনুপস্থিতি এবং সংকটের কথা ব্যাখ্যা করে আইসিসির কাছে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠনের আবেদন করতে হবে। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আইসিসি অনুমতি দিলে অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠন করা যাবে। সেই কমিটিতে নতুন একজন পারবেন সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করতে। তবে অন্তর্বর্তী কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে ক্রিকেট বোর্ডকে অবশ্যই আইসিসির কাছে অঙ্গিকার করতে হবে দ্রুততম সময়ে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের।
বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অবশ্য আগামী ৬ মাস সভাপতির পদে পাপনের বহাল থাকা নিশ্চিত। নিয়মানুযায়ী, প্রতি ২ মাস অন্তর পরিচালকদের একটি সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। যদি কোনো পরিচালক টানা তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকে, তবে তার পরিচালক পদ বাতিল হয়ে যাবে। পরিচালক পদ হারালে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সভাপতির পদ চলে যাওয়ার কথা পাপনের।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত দুইবার অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি দেখা গেছে। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে প্রথমবার অ্যাড-হক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। দ্বিতীয়বার ২০১২ সালে। সেবার আ হ ম মুস্তফা কামাল সভাপতির পদ থেকে সরে গেলে অন্তর্বর্তী কমিটি গঠিত হয়েছিল।
Related Post
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের অবসরের মাধ্যমে ...
টাইগার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট অগ্রসর হচ্ছে পান্ডব হী .....
বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ থেকে ...
বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজের জন্য পাকিস্তানে .....